মসজিদের দানের টাকা বন্যার্তদের দেওয়ার সুযোগ নেই : আহমাদুল্লাহ


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ২৫, ২০২৪, ৩:৪৫ অপরাহ্ন
মসজিদের দানের টাকা বন্যার্তদের দেওয়ার সুযোগ নেই : আহমাদুল্লাহ

ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে মসজিদগুলোতে দান করা টাকা বন্যাকবলিত মানুষের সহায়তা হিসেবে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।

তিনি বলেন, ইসলামি শরীয়তে দৃষ্টিতে কোনো ব্যক্তি যদি একটা বিশেষ উদ্দেশ্যে মসজিদে টাকা দেন, সেটা অন্যকোনো খাতে ব্যয় করার কোন সুযোগ নেই।

রোববার (২৫ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর বাড্ডা সাতারকুল এলাকায় আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের ত্রাণ কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, আমি আজই কোনো একটা জাতীয় গণমাধ্যমে দেখতে পেয়েছি একটা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়েছে। পাগলা মসজিদ থেকে বড় একটা টাকার অংক আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনকে দিয়েছে। এটা একেবারেই অসত্য ও ভিত্তিহীন তথ্য৷

তিনি বলেন, আপনি কিছু টাকা দিয়ে বললেন কিছু মানুষকে খাইয়ে দিতে কিন্তু আমি যদি সেই টাকা নিয়ে কোরআন শরীফ কিনে নিয়ে আসি, তাহলে সেটা কোনোভাবেই ঠিক হবে না বরং গুনাহ হবে। কারণ টাকার দাতা আমাকে সেই পারমিশন দেননি। কোনো ব্যক্তি যদি মসজিদে টাকা পয়সা দেয়, তাহলে সেই টাকা মসজিদের উন্নয়নে ব্যবহার হবে। আমরা কোনোভাবেই সেটা নিয়ে বন্যায় খরচ করতে পারি না।

শায়খ আহমাদুল্লাহ আরও বলেন, আপনি বন্যার জন্য প্রয়োজনে মসজিদ থেকেই আলাদা ফান্ড তৈরি করবেন এবং টাকা উঠাবেন। ইসলাম ধর্মে সকল খাতেই আলাদা আলাদা খরচের সুযোগ আছে, যে কারণে একটাকে অন্যটার ভিতরে এনে ব্যবহারের কোন প্রয়োজন নেই।

এর আগে দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় বন্যাকবলিতদের মধ্যে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ফান্ড থেকে কিছু টাকা অনুদানের দাবি উঠে। তবে পাগলা মসজিদের একটি সূত্রে জানা গেছে, মসজিদ কমিটির বেশিরভাগ সদস্য আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তারা পলাতক রয়েছেন। তাই মসজিদ পরিচালনা কমিটির মিটিং ছাড়া এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়।

প্রসঙ্গত, সর্বশেষ শনিবার (১৭ আগস্ট) ৩ মাস ২৬ দিন পর পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খুলে ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। দিনভর গণনা শেষে সেই টাকার পরিমাণ ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা দাঁড়ায়। এছাড়া দানবাক্সে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কারও ছিল। এর আগে চলতি বছরের ২০ এপ্রিল পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া যায়। প্রতিবারই দানবাক্স খুললে কোটি কোটি টাকা পাওয়া যায়।