হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা, চিকিৎসা ও ব্যাবসায়ীদের সমস্যা উত্থাপন করে সংবাদ সম্মেলন


প্রকাশের সময় : মার্চ ৮, ২০২৫, ১১:১৮ অপরাহ্ন
হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা, চিকিৎসা ও ব্যাবসায়ীদের সমস্যা উত্থাপন করে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক : হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যাবসায়ীদের সমস্যা উত্থাপন ও ৯ দফা দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৮ মার্চ) শনিবার সকাল ১০ ঘটিকায় জাতীয় প্রেস ক্লাব ঢাকার আবদুস সালাম হলের (৩য় তলায়) বাংলাদেশ ডি এইচ এম এস ডক্টরস ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।‌

সংবাদ সম্মেলনে হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা, চিকিৎসা ও ব্যাবসায়ীদের মূল সমস্যাগুলি তুলে ধরা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ডা. সিরাজুল ইসলাম। এসময় বিভিন্ন সংগঠন ও কলেজ সমূহের অধ্যক্ষ, শিক্ষক এবং চিকিৎসকগণ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে দাবী সমূহ পাঠ করেন ডা. মোঃ ওমর কাওছার।

দাবী সমূহঃ

১. নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের দাবী অন্তর্ভূক্ত করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পেশ করা হয়েছে, তা অন্তর্ভূক্তির জন্য দাবী জানাচ্ছি।

২. গত ৫ই হেব্রুয়ারী স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নিকট জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও বলতে হচ্ছে প্রতিবেদনে অধ্যায় ১৩(খ) ধারার স্বাস্থ্য সেবায় যারা কাজ করেন তাদেও নাম লেখা হয়েছে। ইউনানী, আয়ুর্বেদিক, ফিজিওথেরাপীর নাম ল্লেখ করা হলেও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সেবার নাম নেই। এটা কিভাবে সম্ভব তা আমাদের বোধগম্য নয়। অনতি বিলম্বে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের সুপারিশমালায় আমাদের বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল ফেডারেশন কর্তৃক পেশকৃত দাবী সমূহ অন্তর্ভূক্ত করার দাবী জানাচ্ছি।

৩. হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা, শিক্ষা ও সেবা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্বাস্থ্য খাতে জাতীয় বাজেটের ১০% বরাদ্দ নিশ্চিত করার দাবী জানাচ্ছি।

৪. অনতি বিলম্বে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য জমাকৃত বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাময়িক অনুমোদন দেওয়া হোক।

৫. হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রসারের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে আলাদা অধিদপ্তর চাই।

৬. ডিএইচএমএস কোর্সের মান স্নাতক নির্ধারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন আমাদের দীর্ঘদিনের দাবী তা বাস্তবায়ন করতে হবে।

৭. শিক্ষকদের ১০০% বেতন ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি প্রদান করতে হবে ।

৮. হোমিওপ্যাথিক ঔষধ আমদানী, প্রস্তুত ও বিক্রয়ের ক্ষেত্রে অন্য আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন তা শুধুমাত্র হোমিওপ্যাথিক আইন ২০২৩ দ্বারা পরিচালিত হতে হবে। হোমিওপ্যাথিক আইন ২০২৩ ব্যতীত হোমিওপ্যাথিক ঔষধ আমদানী, প্রস্তুত ও বিক্রয়ের ক্ষেত্রে অন্য আইন প্রয়োগ করা যাবেনা।

৯. বায়োকেমিক চিকিৎসা পদ্ধতির কোর্স চালু করতে হবে।

 

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন- সংগঠনের উপদেষ্টা ডা. সাখাওয়াত ইসলাম ভূইয়া (খোকন)।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- ডা. এনামুল হক, ডা. সালাউদ্দিন, ডা. টিপু সুলতান, ডা. মেছবাহ, ডা. মামুন হাছিব, ডা. প্রদীপ কুমার দাস, ডা. রফিকুল, ইসলাম তুষার, ডা. নাঈমুল হক, ডা. হোসেন মামুন, ডা. বিমল চন্দ্র ঘোষ, আরো উপস্থিত ছিলেন- ডা. তাজুল, ইসলাম, ডা. ক্সসকত, ডা. লাবনী, ডা. রোকেয়া, ডা. রূপক রঞ্জন, ডা. মিজান, ডা. সুমন, ডা. হানিফ প্রমুখ।