আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সিরিয়ার সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর কমান্ডার হাসান আবদ আল-ঘানি ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন। শনিবার এক টেলিগ্রাম বার্তায় তিনি বলেন, ‘সব ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষ নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন। সাম্প্রদায়িকতা ও দমননীতির যুগ চিরতরে শেষ হয়ে গেছে।’
গত সপ্তাহে সামরিক অভিযান পরিচালনা করে বিদ্রোহীরা সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পো এবং চতুর্থ বৃহত্তম শহর হামা দখল নেয়। বর্তমানে তারা তৃতীয় বৃহত্তম শহর হোমসের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে সামরিক অভিযান প্রশাসনের নেতৃত্বে।
হাসান আবদ আল-ঘানি আরও বলেন, আমাদের বাহিনী মাঠে শৃঙ্খলা প্রদর্শনে সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে এবং এটি আমাদের নেতৃত্বের নির্দেশনার ফল। তিনি জানান, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর কোনো ধরনের আঘাত আসবে না।
এদিকে বিদ্রোহীরা হোমস শহরের উপকণ্ঠে পৌঁছালেও সিরিয়ার সরকারি বাহিনী তাদের শহরে প্রবেশ থেকে বিরত রাখতে পেরেছে বলে জানিয়েছে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস।
শনিবার সকালে সিরিয়ার সেনাবাহিনী জানায়, তারা হোমস ও হামা প্রদেশে নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করেছে। সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে।
অবজারভেটরির প্রধান রামি আবদ আল-রহমান জানান, হোমস শহরের কাছে সরকারপন্থী বাহিনী বড় ধরনের সেনা সমাবেশ করেছে। পাশাপাশি রাশিয়া ও সিরিয়া বিদ্রোহীদের অবস্থানে বিমান ও কামানের হামলা চালাচ্ছে।
বিদ্রোহীদের আশ্বাস ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য স্বস্তি এনে দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা এবং দমনমূলক শাসনের কারণে তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিল।
সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীর দাবি, তারা একটি সমতাভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছে, যেখানে সব সম্প্রদায়ের মানুষ নিরাপদে থাকতে পারবে।
আপনার মতামত লিখুন :