চীন থেকে ঘুরতে এসে প্রেম-বিয়ে


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ৩, ২০২৪, ২:৩৪ অপরাহ্ন
চীন থেকে ঘুরতে এসে প্রেম-বিয়ে

ডেস্ক নিউজ : গার্মেন্টের বায়ারের কাজে বন্ধুদের সঙ্গে চীন থেকে বাংলাদেশের গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকার একটি পোশাক কারখানায় ঘুরতে আসেন চেংনাং নামে চীনের এক যুবক। এসেই সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার অন্তরা নামে এক সন্তানের জননীর সঙ্গে দেখা হয় এবং তার প্রেমে পড়ে যান।

এরপর দুজনের মধ্যে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে দুই পরিবারের সম্মতিক্রমে ওই যুবক মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করে প্রেমিকা অন্তরাকে বিয়ে করেন। মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করে নতুন নাম রেখেছেন সালমান স্বাধীন। বর্তমানে দুজন সিরাজগঞ্জের কাজিপুর পৌর এলাকার বিয়ারা গ্রামে অন্তরার বাড়িতে বসবাস করছেন। ভিসা প্রসেসিং শেষে স্বামী-স্ত্রী দুজনে চায়নার হুনান শহরে চলে যাবেন। দুই দিন আগে নবদম্পতি গ্রামে এলে অন্তরার স্বজনসহ দূর-দূরান্তের মানুষ এসে বিদেশি জামাইকে দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন।

অন্তরা খাতুন বলছেন, গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করা অবস্থায় চায়না থেকে কিছু বিদেশি বায়ারের সঙ্গে চেংনাং কারখানায় ঘুরতে আসেন। তখন তাকে দেখে চেংনাংয়ের ভালো লাগে। এরপর দুজনের ফেসবুকে কথাবার্তা এবং মনদেওয়া নেওয়া হয়। তিন মাস প্রেমের সম্পর্কের পর পরিবারের সম্মতিতে চেংনাং ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেস এবং সেপ্টেম্বরের ২২ তারিখে দুজনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি আরও বলেন, গত পাঁচ মাস আগে তার পূর্বের স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স হয়েছে। ৯ বছর বয়সি একটি মেয়েও রয়েছে তার। তবে এসব বিষয় খুব সহজ ভাবেই মেনে নিয়েছেন সালমান স্বাধীন ওরফে চেংনাং। চায়না নাগরিক চেংনাং বলেন, অন্তরাকে প্রথম দেখে আমার ভীষণ ভালো লাগে। পরে তার সঙ্গে আমি যোগাযোগের মাধ্যম খুঁজতে থাকি। একপর্যায়ে অন্তরার ফেসবুক আইডি সংগ্রহ করে তাকে মেসেজ পাঠাই। সেই থেকে আমাদের সম্পর্কের শুরু। এরপর প্রেম এবং বিয়ে। অন্তরার অতীত নিয়ে আমার কোনো ভাবনা নেই। এখন দুজন সারাজীবন একসঙ্গে থাকব এটাই আমাদের পরিকল্পনা। ইতোমধ্যে ভিসার আবেদন করেছি। ভিসা পেলেই দুজন চীনে চলে যাব। অন্তরার বাবা আবদুর রশিদ ও মা রাহেলা খাতুন জানান, প্রথমে একটু চিন্তা হয়েছিল। ভিনদেশি একজনের সঙ্গে আমাদের মেয়ে কীভাবে সংসার করবে। তবে ধীরে ধীরে একে অপরকে জানতে ও বুঝতে শিখেছে। তাদের মধ্যে একটি নিবিড় বন্ধনের সৃষ্টি হয়েছে। সেজন্য আমরাও তাকে মেয়ের জামাতা হিসেবে মেনে নিয়েছি। অভিভাবক হিসেবে আমরা খুশি হয়ে দোয়া করি তারা যেন সারাজীবন সুখে থাকে।